আজ সেজুতির মন ভালো নেই!



কথা ছিল, এক পা দু পা করে চার পায়ে পাড়ি দিবে অসীমতটীয় নীলচে কোনো রৌদ্দোর, দুজনে মিলে ম্লানমুখু সন্ধ্যার বাতাসের বেদখল নিবে লুটেপুটে। চার দেয়াল, চেনা করিডোর আর বাড়ির পাশের ঘটনাবহুল শান্ত ধানের মাঠে তিলে তিলে বেড়ে ওঠা অনিশ্চিত স্বপ্নেরা পায়নি মুক্তির আনন্দ। মাটির ব্যাংকে একটু একটু করে জমতে থাকা নিরব ভালোবাসারা পায়নি প্রাপ্য স্বীকৃতি। নতুন ছাদে বেড়ে ওঠা রক্ত গোলাপ আর কখনোই পাবে না ভালোবাসার রঙিন আদর। মন খারাপের এলোমোলো সকাল আর ধুলোয় হারা ক্লান্ত বিকেল ভুলতে বসেছে সময়ের স্মৃতি। বৈশাখে পড়া সাদা পাড়ের বাসন্তী শাড়ীর রং চটতে বসেছে গত কদিন থেকেই। নরম গাল আর কাঁচা শরীরের প্রাণোচ্ছল সেজুতি আজ আর মহিমকে একটুও টানছে না। কদিন পরই হয়তো, এই চেনা হাতের উপর পড়বে নতুন আরও একজোরা হাত! চেনা মানুষের ভাগবাটোয়ারা করবে অন্য আরেকটা অপরিচিত মানুষ। সদ্য ভেজা বৃষ্টিস্নাত সকালটার সবটুকু স্মৃতি বড্ড অমলিন। একসাথে পাড়ি দেওয়া মরা গঙ্গার কথা হয়তো কালক্রমে মনে করতে চাইবে একেক জন। কিন্তু, এখন আর কারোর কিছুই যায় আসেনা এতে।   

জীবনের কোনো একটা সময় বড্ড পাষাণ হতে হয়, যতটা পাষাণ্ড হলে আপাদ মস্তক ভেঙে নিজেকে আরও একটা বার পুনর্গঠন করা যায়! যতটা পাষণ্ড হলে খানিকটা মন খারাপের অভিমানী বিকেল দিনশেষে এনে দেয় একটা নতুন সকাল, যেখানে কারোও অধিকার থাকে না, জবরদস্তি থাকে না,অভিমান ভাঙানোর অভিমান থাকে না, যেখানে থাকে অনাবিল এলোমেলো খোলা পথে অসীম দূরে মুক্ত বিহঙ্গের ন্যায় ইচ্ছে মত লাগামহীন ছুটে চলার আনন্দ!

লেখক নিজস্ব প্রতিবেদক

মো. রাফছান একজন লেখক, কলামিস্ট, সংগঠক ও গ্রাফিক্স ডিজাইনার। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্স-এর শিক্ষার্থী এবং তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, চবি-র প্রতিষ্ঠাতা ও উপদেষ্টা। সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে তরুণদের সঙ্গে কাজ করছেন। সঠিক তথ্য, সচেতনতা এবং সহযোগিতার মাধ্যমে একটি সমতা ও মানবিকতা-ভিত্তিক সমাজ গড়াই তাঁর মূল উদ্দেশ্য।

0 Comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

যেকোনো সময়, যে কোনো মুহুর্তে যে কোনো দেশের সাহিত্য, প্রযুক্তি, শিক্ষা, চিকিৎসা, খেলাধুলা বিষয়ে সবার আগে জানতে আমাদের সাথে কানেক্টেড থাকুন। - ধন্যবাদ